Sunday, August 24, 2025

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর যুগান্তকারী সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছে রাষ্ট্রপতি

ফৌজদারি কার্যবিধি

Share

বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে ‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮’ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নতুন এই আইনের নাম “The Code of Criminal Procedure (Amendment) Ordinance, 2025”, যা বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করেন।

১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির সাহায্যে এযাবৎকাল বাংলাদেশের বিচারাঙ্গন বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করেছে। কিন্তু সময়ের সাথে অপরাধের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। আরো পরিবর্তন হয়েছে সামাজিকতা এবং ন্যায় বিচারের মানদন্ড। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধন জরুরী ছিলো। বর্তমান ইনটেরিম সরকার সেটি অনুধাবন করেছে এবং ফৌজদারি কার্যবিধি-তে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

যেই যেই ধারা এবং বিধানে The Code of Criminal Procedure (Amendment) Ordinance, 2025 এর মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে আসুন এক নজরে সেগুলো জেনে নেই।

ধারা ৩২ এর সংশোধন

  • মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা, ১ম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটগণ অনধিক ৫ বছর কারাদন্ড এবং পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড দিতে পারবেন।
  • দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট অনধিক ৩ বছর এবং তিন লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড দিতে পারবেন।
  • তৃতীয় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা হবে অনধিক ২ বছর এবং দুই লক্ষ টাকা।

ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন করে ধারা ৪৬ক, ৪৬খ, ৪৬গ, ৪৬ঘ এবং ৪৬ঙ যুক্ত হবে। ধারা গুলো নিম্নরুপ —

ধারা ৪৬কঃ গ্রেফতারের প্রক্রিয়া এবং গ্রেফতারকারী কর্মকর্তার কর্তব্য

গ্রেপ্তারকালে পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য যে কোনো ব্যক্তি যিনি গ্রেপ্তার করছেন তিনি —

  • নিজের নামের একটি সঠিক, দৃশ্যমান ও স্পষ্ট পরিচয় বহন করবেন, যা সহজে শনাক্তকরণে সহায়ক হবে;
  • নিজের পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং প্রযােজন হলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের তার পরিচয়পত্র দেখাবেন;
  • গ্রেপ্তারের একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করবেন যা —
    • অন্তত একজন সাক্ষীর দ্বারা সত্যাযতি হবে, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য বা যে এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই এলাকার একজন সম্মানিত বাসিন্দা; এবং
    • যদি এমন কোনো সাক্ষী না পাওয়া যায় তবে স্মারকলিপিতে কারণ উল্লেখ করতে হবে;
    • গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির দ্বারা স্বাক্ষরিত বা আঙুলের ছাপযুক্ত হবে, যদি তিনি অস্বীকার না করেন।
  • যদি অভিযুক্তকে তার বাসস্থান ছাড়া অন্য কোথাও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির মনোনীত পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধুকে, গ্রেপ্তারের সময় ও স্থান এবং হেফাজতের স্থান জানিয়ে, যত দ্রুত সম্ভব কিন্তু কোনোভাবেই গ্রেপ্তারের সময় থেকে বারো ঘণ্টার বেশি দেরি না করে অবহিত করতে হবে;
  • যদি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, তবে ধারা ৪৬ই অনুযায়ী একজন মেডিকেল অফিসার বা নিবন্ধিত চিকিৎসক দ্বারা তার পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; উপস্থিত মেডিকেল অফিসার বা চিকিৎসকের কাছ থেকে সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে; এবং আঘাতের কারণ নথিভুক্ত করতে হবে;
  • গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে, যদি তিনি চান, তার পছন্দের কোনো আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার বা তার নিকটতম আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে হবে, বিশেষভাবে বারো ঘণ্টার মধ্যে তা নিশ্চিতকরতে হবে।

ধারা ৪৬খঃ গ্রেফতারের পর তথ্য লিপিবদ্ধ করা ও পরিবারের কাছে তথ্য দেওয়ার নিয়ম

গ্রেফতারের রেকর্ড অফিসিয়াল রেজিস্ট্রারে যেসব বিষয় লিপিবদ্ধ করণ করতে হবে।

  • গ্রেফতারের কারণ উল্লেখ করতে হবে
  • অভিযোগ কে দিয়েছে বা তথ্য কে দিয়েছে তার নামও তথ্য লিখতে হবে।
  • যার কাছে গ্রেফতারের খবর দেওয়া হয়েছে তার নামও তথ্য লিখতে হবে।
  • যে পুলিশ কর্মকর্তা হেফাজতে রয়েছে তার নামও তথ্য লিখতে হবে।

সাধারন ডায়েরিতে যেসব বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে —

  • যে থানার এলাকায় গ্রেফতার হয়েছে সেই থানার সাধারণ ডায়েরীতে সাথে সাথে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
  • গ্রেফতারকারী যদি ঐ থানার অধিক্ষেত্রে না হন সেক্ষেত্রে গ্রেফতারের পর পরই গ্রেফতারের মেমোরেন্ডামের কপি সেই থানার অফিসার ইনচার্জ দিতে হবে যেন সাধারণ ডায়েরীতে অন্তর্ভূক্ত করেন।

পরিবার বা পরিচিতদের তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা —

  • সাধারণ ডায়েরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাইলে গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তির আত্মীয়, বন্ধু বা প্রতিবেশীকে গ্রেফতার সম্পর্কে তথ্য দিতে বাধ্য থাকবেন।

ধারা ৪৬গঃ গ্রেফতারের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রদর্শন

  • প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপার বা প্রতিটি মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনার, প্রয়োজনে, জেলার বা মহানগর সদর দপ্তরে এবং প্রতিটি থানায়, সহকারী উপ-পরিদর্শকের পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মনোনীত করবেন।
  • এই কর্মকর্তা গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা এবং যেসব অপরাধে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার তথ্য সংরক্ষণ করবেন এবং এই তথ্যগুলো স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করবেন, সম্ভব হলে ডিজিটাল আকারে, প্রতিটি থানায় এবং জেলা বা মহানগর সদর দপ্তরে।

ধারা ৪৬ঘঃ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতে থাকা কর্মকর্তার দায়িত্ব হবে তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যথাযথ যত্ন নেওয়া।

ধারা ৪৬ঙঃ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির চিকিৎসা কর্মকর্তার মাধ্যমে পরীক্ষা

  • গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ মনে হয় বা তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন থাকে তখন তাকে দ্রুত পরীক্ষার জন্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। যদি সরকারি চিকিৎসা কর্মকর্তা না পাওয়া যায়, তবে নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হবে।
    • শর্ত থাকে যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি যদি নারী হন, তবে সম্ভব হলে তার দেহ পরীক্ষা একজন নারী চিকিৎসক বা নিবন্ধিত নারী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, অথবা একজন মহিলা নার্স বা মহিলা কর্মীর উপস্থিতিতে করা হবে ।
  • পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতিবেদনসহ একটি সনদ চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসক প্রদান করবেন যা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে।
  • কোনো গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আহত অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয় তবে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিতে পারবেন।
    • শর্ত থাকে যে, যদি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গুরুতর আহত বা অসুস্থ হন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন হয় এবং শারীরিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে এবং তার নির্ধারিত শর্তে ভিডিও সংযোগের (Electronic Video Linkage) মাধ্যমে হাজির করানো যেতে পারে।

ধারা ৫১ এর সংশোধন

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি থেকে কোনো বস্তু জব্দ করা হলে জব্দকারী অফিসার সাক্ষীর সম্মুখে একটা তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তার স্বাক্ষর নিবেন এবং যদি সম্ভব হয় তালিকার একটি কপি গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অথবা তার দ্বারা মনোনীত ব্যক্তিকে সরবরাহ করবেন।

ধারা ৫৪ঃ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের বিধান

কোনো পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়াই এবং কোনো পরোয়ানা ছাড়াই নিম্নলিখিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করতে পারবে —

  • যেকোনো ব্যক্তি, যিনি পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কোনো জ্ঞাতব্য (Cognizable offence) অপরাধ সংঘটন করেন;
  • যেকোনো ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ রয়েছে অথবা নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে অথবা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রয়েছে যে তিনি এমন কোনো জ্ঞাতব্য অপরাধ করেছেনযা সর্বোচ্চ- ৭ (সাত) বছরের কম কারাদণ্ডযোগ্য এবং যা জরিমানাসহ/ছাড়া হতে পারে। এবং নিম্নলিখিত শর্তাবলি পূর্ণ হলে :
    • লিশ কর্মকর্তার যুক্তিসঙ্গত বিশ্বাস আছে-প্রাপ্ত তথ্য বা সন্দেহের ভিত্তিতে যে ওই ব্যক্তি অপরাধটি করেছেন; এবং
    • পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত যে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন ।
      • ওই ব্যক্তিকে আর কোনো অপরাধ করা থেকে বিরত রাখার জন্য অথবা
      • অপরাধের সঠিক তদন্তের জন্য অথবা
      • অপরাধের প্রমাণ নষ্ট হওয়া বা প্রমাণে হস্তক্ষেপ ঠেকানোর জন্য অথবা
      • ওই ব্যক্তি যাতে মামলার তথ্য জানে এমন কাউকে প্রলুব্ধ ভয় দেখানো বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদালত বা পুলিশের কাছে তথ্য না দিতে প্ররোচিত না করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য অথবা
      • ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করলে প্রয়োজনের সময় তার আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে এবং গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্মকর্তা তার গ্রেপ্তারের কারণ লিখিত আকারে নথিভুক্ত করবেন।
  • যেকোনো ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে যে তিনি এমন কোনো জ্ঞাতব্য অপরাধ করেছেন যা সাত বছরের বেশি কারাদণ্ডযোগ্য এবং জরিমানাসহ বা ছাড়া অথবা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কর্মকর্তার যুক্তিসঙ্গত বিশ্বাস আছে যে তিনি উক্ত অপরাধটি সংঘটন করেছেন।
  • যেকোনো ব্যক্তি যার কাছে আইনসঙ্গত কারণ ছাড়া বাড়ি ভাঙার (House Breaking) কোনো যন্ত্র পাওয়া যায়।
  • যেকোনো ব্যক্তি সরকারের আদেশে অপরাধী হিসেবে ঘোষিত করা হয়েছে।
  • যেকোনো ব্যক্তি যার দখলে এমন কোনো বস্তু পাওয়া যায় যা যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যায় যে তা চুরি করা সম্পত্তি।
  • যেকোনো ব্যক্তি যিনি পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বপালনে বাধা দেন অথবা যিনি আইনানুগ হেফাজত থেকে পালিয়েছেন বা পালানোর চেষ্টা করেছেন।
  • যেকোনো ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ আছে যে তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী থেকে পলাতক।
  • যেকোনো ব্যক্তি যিনি যুক্ত আছেন বা যার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ বা নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে যে তিনি বাংলাদেশের বাইরে সংঘটিত এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, যা বাংলাদেশে সংঘটিত হলে অপরাধ হতো এবং যার জন্য তিনি কোনো প্রত্যর্পণ আইন অনুযায়ী বা অন্যভাবে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার বা হেফাজতে রাখার যোগ্য।
  • যেকোনো মুক্তিপ্রাপ্ত দণ্ডিত ব্যক্তি যিনি ধারা ৫৬৫-এর উপধারা (৩)-এর অধীনে প্রণীত কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেন।
  • যেকোনো ব্যক্তি, যার গ্রেপ্তারের জন্য অন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়া গেছে।
    • শর্ত থাকে যে সেই অনুরোধে গ্রেপ্তারের জন্য ব্যক্তির পরিচয় এবং অপরাধ বা গ্রেপ্তারের অন্য কারণ উল্লেখ থাকবে এবং তা থেকে প্রতীয়মান হবে যে অনুরোধকারী কর্মকর্তা সেই ব্যক্তিকে পরোয়ানা ছাড়া আইনসম্মতভাবে গ্রেপ্তার করতে পারেন।
    • কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এই ধারার অধীনে কাউকে শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক আটক সংক্রান্ত কোনো আইনের আওতায় আটক রাখার উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করতে পারবেন না

ধারা ৫৪কঃ গ্রেফতারের কারণ জানানো

যে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যদি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করেন, তবে গ্রেপ্তারের সময় সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে।

ধারা ৬৭কঃ গ্রেপ্তারের বিধান লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে পদ্ধতি

যে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের সামনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে হাজির করা হবে, তিনি পর্যালোচনা করবেন যে গ্রেপ্তারের বিধানসমূহ পুলিশ কর্মকর্তা যথাযথভাবে মেনে চলেছেন কিনা।

যদি ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত মনে করেন যে কোনো বিধান অবহেলা জনিতভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বা মানা হয়নি, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রযোজ্য সার্ভিস রুল অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন।

ধারা ৬৯ (৪) সমন প্রেরণের অতিরিক্ত পদ্ধতি

আদালত অন্যান্য পদ্ধতির পাশাপাশি নির্দেশ দিতে পারেন যে- সমন ইলেকট্রনিক মাধ্যম যেমন —

  • শর্ট মেসেজ সার্ভিস (SMS
  • ভয়েস কল
  • ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস
  • ইলেকট্রনিক মেইল (ই-মেইল) এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে, এবং সমন প্রেরণের প্রমাণ নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে।

ধারা ৭০ঃ শব্দ পরিবর্তন

উক্ত ধারা থেকে Male (পুরুষ) শব্দ বিলুপ্ত হবে।

ধারা ১৬৭(২) এর সংশোধন

  • যে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই ধারার অধীনে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাজির করা হয় বা অন্যভাবে হাজির হয় তিনি মামলাটি বিচার করার এখতিয়ার থাকুক বা না থাকুক প্রয়োজনে সময়ে সময়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেফাজতে রাখার অনুমতি দিতে পারবেন।
  • যে সময়সীমা তিনি উপযুক্ত মনে করবেন, তবে সর্বমোট পনের দিনের বেশি নয়।
  • যদি তাঁর এখতিয়ার না থাকে মামলাটি বিচার করার বা বিচারার্থে পাঠানোর এবং যদি তিনি মনে করেন যে আরও হেফাজত প্রয়োজন নেই তবে তিনি নিন্দেশ দিতে পারবেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এমন কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হোক যার এই ধরনের এখতিয়ার রয়েছে।
  • তৃতীয় শ্রেণির কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো ম্যাজিস্ট্রেট যদি না সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতা প্রদান করে পুলিশের হেফাজতে রাখার অনুমতি দিতে পারবেন না ।
  • কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কোনো মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশের হেফাজতে সর্বমোট পনের দিনের বেশি রাখার অনুমতি দিতে পারবেন না ।

Table of Contents

Read more

Related Posts

Join our community of SUBSCRIBERS and be part of the conversation.

To subscribe, simply enter your email address on our website or click the subscribe button below. Don’t worry, we respect your privacy and won’t spam your inbox. Your information is safe with us.

32,111

Followers

32,214

Followers

11,243

Followers